Blackmail and Extortion Schemes- ব্ল্যাকমেইল এবং চাঁদাবাজি
এই স্কিমগুলো প্রচলিত অর্থব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করে। ক্রিপ্টো স্ক্যামাররা ক্ষতিগ্রস্তদের ব্ল্যাকমেইল করে বা চাঁদাবাজি করে তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ফি দিতে বাধ্য করে। ভুক্তভোগীরা অর্থ প্রদান করে কারণ তারা ভয় পায় যে স্ক্যামাররা তাদের কোন তথ্য নিজেদের কাছে রেখে দেয়। তা হতে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও বা কোন আর্থিক রেকর্ড। স্ক্যামাররা এইসব তথ্য প্রকাশ করার হুমকি দেয় এবং নির্ধারিত সময়ে অর্থ প্রদান না করলে সবগুলো ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখায়, তাতেই ভুক্তভোগীরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে স্ক্যামারকে অর্থ প্রদান করে থাকে।
Cloud Mining Scams- ক্লাউড মাইনিং প্রতারণা
এই স্ক্যামাররা ভুয়া কোম্পানীর মাধ্যমে প্রতারণার করে ভুক্তভোগীদের বোকা বানায় যারা মাইনিংয়ের চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই চুক্তিগুলো ক্রিপ্টো মাইনিং থেকে লাভের প্রতিশ্রুতি দেয় কোনো ধরণের ব্যয় বা ঝুঁকির ঝামেলা ছাড়াই। প্রকৃতপক্ষে এই প্রজেক্টগুলো স্ক্যামারদের দ্বারা পরিচালিত যাদের কাছে আসলে মাইনিংয়ের কোন উপকরণই নেই। এছাড়াও তাদের বিনিয়োগকারীদের প্রতিশ্রুত রিটার্ন পরিশোধ করারও সামর্থ নেই। কিছু মাইনিং প্রজেক্টের প্রতারণা পঞ্জি স্কিমের একটি ধরণ হিসেবে শুরু হয়, যেখানে নতুন বিনিয়োগকারীদের অর্থ দিয়ে প্রথম দিকের বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন প্রদান করা হয়।
উদাহরণ:
একজন স্ক্যামার বিটকয়েন মাইনিং চুক্তিতে উচ্চ আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি ভুয়া ক্লাউড মাইনিং ওয়েবসাইট সেট আপ করে। বিনিয়োগকারীরা এই চুক্তিগুলো ক্রয় করে, কিন্তু স্ক্যামার কখনও কোন মাইনিং কার্যক্রম পরিচালনা না করে ফান্ড সংগ্রহের পর অদৃশ্য হয়ে যায়।
Fake Crypto Exchanges and Wallets- জাল ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এবং ওয়ালেট
আপনার কাছ থেকে ফান্ড চুরি করতে স্ক্যামাররা কখনো কখনো ভুয়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এবং ওয়ালেট তৈরি করবে। এই নকল প্ল্যাটফর্মগুলি প্রায়ই বৈধগুলোর সাথে হুবহু মিলে যায়- অভিন্ন দেখায়। যা সেগুলোকে নকল হিসেবে চিহ্নিত করা কঠিন করে তোলে। এগুলো অল্প ফি, উচ্চ নিরাপত্তা বা অনন্য বৈশিষ্ট্যের মতো আকর্ষণীয় অফারের কথা বলে ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করে। পরবর্তীতে আপনি যখন অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন এবং ফান্ড জমা করেন, তখন স্ক্যামাররা সেই ফান্ড চুরি করে অদৃশ্য হয়ে যায়।
২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের দুই ব্যক্তি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। তারা Blockchain.com এর একটি (নকল) প্রতিলিপি তৈরি করেছে যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অনলাইন ওয়ালেটে অ্যাক্সেস নিতে পারে।
উদাহরণ:
একজন স্ক্যামার একটি ভুয়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট তৈরি করে যা দেখতে হুবহু Binance এর মতো। ব্যবহারকারীরা এতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং তাদের তহবিল জমা করে কিন্তু পরে জানতে পারে যে এক্সচেঞ্জটি জাল এবং তাদের ফান্ড চলে গেছে।
SIM-Swap Scams- সিম সোয়াপ স্ক্যাম
এগুলি ক্রিপ্টো জালিয়াতির অত্যন্ত পরিশীলিত রূপ। স্ক্যামাররা আপনার মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আপনাকে টার্গেট করবে এবং আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে এটি ব্যবহার করবে। স্ক্যামাররা আপনার বার্তা পাঠানোর অথেনটিকেশন কোড পেতে আপনার নম্বর ব্যবহার করতে পারে আবার আপনার পাসওয়ার্ডও রিসেট করে নিতে পারে। এর মানে তারা আপনার ডিজিটাল সম্পদে সরাসরি অ্যাক্সেস পেতে পারে।
স্ক্যামাররা প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়া, তথ্য চুরি বা ফিশিং ইমেলের মাধ্যমে আপনার মোবাইল নম্বর কব্জা করতে পারে। সেই তথ্যের সাহায্যে একজন স্ক্যামার আপনার মোবাইল প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং সিম সোয়াপ করার সুযোগ চাইতে পারে যাতে তারা আপনার বার্তা পড়তে এবং আপনার ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বা ওয়ালেটে সেট আপ করা যেকোনো two-factor authentication বাইপাস করতে পারে।