স্ক্যামাররা কখনও কখনও লোভনীয় ক্রিপ্টো ইনভেস্টমেন্ট স্কিম ডিজাইন করে যা সামান্য বা কোন ঝুঁকি ছাড়াই উচ্চ রিটার্নের/লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা প্রায়শই আপনাকে বোঝানোর জন্য নানামুখী উপায় অবলম্বন করে যে তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ এবং লাভজনক। এই প্রতারণার সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মধ্যে রয়েছে পঞ্জি স্কিম, পাম্প-এন্ড-ডাম্প স্কিম এবং প্রতারণামূলক ICO ও NFTs।
তারা যেভাবে কাজ করে:
পঞ্জি স্কিম
পঞ্জি স্কিমগুলো নতুন বিনিয়োগকারীদের থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে আগের বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন দেয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগে বিভ্রম সৃষ্টি করে।
এই সাফল্য আরও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্ক্যামার নতুন বিনিয়োগকারীদের থেকে পালিয়ে যায় আর স্কিমটি মুখ থুবড়ে পরে যায়। ফলে বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। যদিও পঞ্জি স্কিমগুলো এখনও বিদ্যমান কিন্তু সেগুলো ২০১৭/২০১৮ ক্রিপ্টো বুমের (ব্যাপক বিকাশ) সময় সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিল এবং এটির সমস্ত রূপ নিয়ে বাজারে এসেছিল। আর সেটি এসেছিল প্রধানত অধিক মুনাফা প্রদান বিনিয়োগ প্রোগ্রাম (HYIPs) আকারে।
পাম্প এবং ডাম্প স্কিম
পাম্প-এন্ড-ডাম্প স্কিমগুলোতে স্ক্যামাররা কৃত্রিমভাবে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য ভুয়া স্টেটমেন্ট বা লেনদেনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করে। এটি করার জন্য তারা কম-মূল্য ও কম-ভলিউমের কোন কারেন্সি প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করে। তারপরে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য কার্যকর প্লাটফর্মের মাধ্যমে সেটির ব্যাপক প্রচার করে যাতে অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়। এই পর্যায়ে তারা আরও দাম বাড়ায়। এরপর যখন দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় তখন তাদের ধারণকৃত কারেন্সি বিক্রি করা শুরু করে দেয়, ফলে সেটির মূল্য ক্র্যাশ করে। অন্য বিনিয়োগকারীরা সেটির আর কোন মূল্য পায়না, তারা সেই মূল্যহীন কয়েন রেখে দিতে বাধ্য হয়।
ICO এবং NFT প্রতারণা
ইনিশিয়াল কয়েন অফারিং (ICOs) এবং Non-Fungible Tokens (NFTs) তাদের বৈধ প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু স্ক্যামাররা প্রায়ই আইসিও এবং এনএফটি-কে ব্যবহার করে অস্তিত্বহীন প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। তারা বিনিয়োগকারীদের ভুয়া প্রচারমূলক উপকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে এবং যখন যথেষ্ট অর্থ সংগ্রহ হয়ে যায় তখন অদৃশ্য হয়ে যায়।