প্রতারণার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হল:
১. তৃতীয় পক্ষের পর্যালোচনাগুলি পরীক্ষা করা
২. অযাচিত মেসেজ উপেক্ষা করা
৩. কোনো অনুমোদন বা অংশীদারিত্ব যাচাই করা
৪. বিনিয়োগ করার আগে ধীরে চল নীতি অনুসরণ
৫. গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক বুকমার্ক করা
এবার ব্যাপারগুলোর বিস্তারিত জানা যাক:
১. তৃতীয় পক্ষের পর্যালোচনা (Reviews) যাচাই করা
বিনিয়োগ করার আগে যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ ও স্বাধীন উৎস থেকে প্রাপ্ত পর্যালোচনাগুলো যাচাই করা সেই প্রজেক্ট সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে সাহায্য করবে। এটি আপনার পরিশ্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি যখন সঠিক এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করবেন তখন প্রকল্পের বৈধতা বুঝতে পারবেন। বিনিয়োগের বৈধতা সম্পর্কে দ্বিগুণ নিশ্চিত হতে প্রকল্পের ওয়েবসাইটে প্রশংসাপত্রের উপর নির্ভর না করে আপনি তৃতীয় পক্ষের দেওয়া বা প্রকাশিত পর্যালোচনাগুলো যাচাই-বাছাই করুন।
২. অযাচিত মেসেজগুলো উপেক্ষা করা
ক্রিপ্টো বিনিয়োগের প্রচারকারী অজানা ব্যক্তি বা কোম্পানির অযাচিত মেসেজ থেকে সর্বদা সতর্ক থাকুন। আপনি অবাঞ্ছিত কোন বার্তা পেলে অবশ্যই সেখানের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করবেন না বা কোন এটাচমেন্ট খুলবেন না। বার্তাটি যে প্ল্যাটফর্মে (হোয়াটসএ্যাপ/টেলিগ্রাম) মেসেজটি রিসিভ করা হয়েছিল সেখানে রিপোর্ট করাও একটি ভাল ধারণা। আপনি যদি বার্তাটিতে সাড়া প্রদান করতে চান তবে প্রথমেই প্রেরকের বৈধতা যাচাই করুন।
৩. অনুমোদন এবং অংশীদারিত্ব যাচাই করা
✪ Read more:
FUD ঝড় থেকে বাঁচতে যেভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবেন
ক্রিপ্টো স্ক্যামের জন্য সবচেয়ে উপযোগী প্ল্যাটফর্মসমূহ জানেন কি?
যেহেতু স্ক্যামাররা প্রায়ই নামকরা কোম্পানির অনুমোদন বা অংশীদারিত্বের মিথ্যা দাবি করে, তাই কোনো বিনিয়োগ করার আগে তাদের দাবিগুলো যাচাই করুন। এটি করতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করুন:
১. তাদের উল্লেখিত পার্টনারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করুন৷
২. পার্টনারশীপ নিশ্চিত করে এমন কোনো প্রেস রিলিজ বা নিবন্ধ আছে কিনা তা অন্তত দু’বার চেক করুন।
৩. সম্ভব হলে কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন এবং অংশীদারিত্ব বাস্তব কিনা তা জিজ্ঞাসা করুন।
৪. বিনিয়োগের আগে ধীরে চল নীতির অনুসরণ
নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনি যা করতে পারেন তার মধ্যে একটি সেরা উপায় হল আপনি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে গবেষণা করতে এবং বুঝতে পর্যাপ্ত সময় নিন। এটি করতে যে উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে তাহল:
১. বিনিয়োগের উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা পরিচালনা করা
২. আপনার বিশ্বস্ত উৎস থেকে এবং বৈধ আর্থিক উপদেষ্টাদের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া
৩. আপনি শুধু ততটুকুই বিনিয়োগ করুন যতটুকু ক্ষতি সইবার সামর্থ আপনার আছে
৫. গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক বুকমার্ক করা
সর্বোপরি, গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কগুলো বুকমার্ক করা একটি ভাল ধারণা। যাতে আপনি ভুলবশত ভুয়া এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইটে ক্লিক না করেন। কিছু এক্সচেঞ্জে অ্যান্টি-ফিশিং চেকারও রয়েছে যেখানে আপনি প্রকৃতপক্ষে ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তাদের কোম্পানির কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে আসছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারেন।