আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে নতুন হয়ে থাকলে অবশ্যই "মুদ্রা" এবং "টোকেন" শব্দগুলো শুনেছেন। যা সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। যদিও এদের মধ্যে কিছু মিল আছে, তবে তফাৎটাও কম নয়। আমরা এখন সেদিকেই আলোকপাত করছি।
কয়েন
কয়েন হল কোন একটি ব্লকচেইনের নেটিভ (নিজস্ব) কারেন্সি। এগুলো দুইটি সত্ত্বার মধ্যে মূল্য/সম্পদ (Assets) স্থানান্তর করতে এবং সেগুলো জমা রাখতে ব্যবহার করা যেতে পারে। Coin এর কিছু উদাহরণ হল বিটকয়েন, ইথেরিয়াম ও লাইটকয়েন। এই কয়েনগুলির নিজস্ব ব্লকচেইন আছে এবং প্রায়শই পেমেন্টের মাধ্যম বা বিনিয়োগের উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
টোকেন
অন্যদিকে, টোকেন হল এমন সম্পদ (Assets) যা বিদ্যমান ব্লকচেইনের উপরে তৈরি করা হয়। তারা রিয়েল-ওয়ার্ল্ড অ্যাসেট যেমন সোনা বা রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ডিজিটাল অ্যাসেট যেমন ইন-গেম আইটেম বা লয়্যালটি পয়েন্টের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। টোকেনগুলো প্রায়শই ব্লকচেইনে smart contracts ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যেমন Ethereum এর স্মার্ট কনট্রাক্টস। টোকেনের অন্যতম উদাহরণ হল ERC-20 টোকেন যেমন Chainlink এবং UniSwap।
মূল তফাৎ
উপরের আলোচনা ও সামগ্রীক বৈশিষ্টের ভিত্তিতে কয়েন এবং টোকেনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল:
✪ Read more:
ডলার-কস্ট অ্যাভারেজিং (DCA): পরিচয়, প্রক্রিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
ক্রিপ্টো এবং ওয়েব ৩ পরিভাষা: আপনার জানাকে সমৃদ্ধ করুন- পার্ট-১
* কয়েন হল স্বতন্ত্র মুদ্রা (নিজস্ব চেইনের উপর প্রতিষ্ঠিত), যেখানে টোকেন একটি বিদ্যমান ব্লকচেইনের উপরে তৈরি করা হয়।
* কয়েনগুলো প্রায়ই পেমেন্ট বা বিনিয়োগের উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে টোকেনগুলো এর বাইরেও বিস্তৃত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
* আরেকটি মূল পার্থক্য হল কয়েনগুলোর নিজস্ব ব্লকচেইন থাকে, যেখানে টোকেনগুলো বিদ্যমান ব্লকচেইনের অবকাঠামো ব্যবহার করে।
* কয়েনগুলো mining করা যেতে পারে, অন্যদিকে টোকেনগুলো স্মার্ট কনট্রাক্টস ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
সংক্ষেপে, যদিও কয়েন এবং টোকেনগুলি প্রথম নজরে একই রকম মনে হয়, কিন্তু তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজ করে। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝা আপনাকে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে নিরাপদ বিনিয়োগ ও তার কার্যকর ব্যবহার সম্পর্কে অবগত করতে পারে।